প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস ও যাদের অবদান উল্লেখযোগ্য

image-not-found

ভূমিকাঃ
চরপাতা বায়তুল ফালাহ্ আলিম মাদ্রাসা দৌলতখান উপজেলার আলোচিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির অন্যতম। উপজেলার মেঘনা উপকূলীয় জন-বহুল ইউনিয়ন চরপাতার পাশ ঘেষে বয়ে যাওয়া ভোলা-দৌলতখান সংযোগ সড়কের সাথেই ইহা অবস্থিত । দৌলতখান শহর হতে প্রায় ৮ কিঃ মিঃ উত্তর পশ্চিমে পল্লীর স্নিগ্ধ সবুজ ছায়া ঘেরা অন্দিদ্য সুন্দর পরিবেশে স্বীয় মহিমায় সমুজ্জল বায়তুল ফালাহ’র একাডেমিক ভবন যেকোন দর্শক মাত্রেরই যেন দৃষ্টি কাড়ে । ১লা জানুয়ারী ১৯৯৪ইং সনে প্রতিষ্ঠিত হয় অত্র চরপাতা বায়তুল ফালাহ্ আলিম মাদ্রাসা । প্রতিষ্ঠার পর থেকেই স্বীয় মহিমায় ভাস্কর হয়ে উঠা মাদ্রাসাটি পুরো ভোলা জেলার শিক্ষাঙ্গনে যে ভাবে নিজের আসন সমুন্নত করে তোলে আমরা এখানে ক্ষুদ্র পরিসরে তা আলোকপাতের প্রয়াস পাবো।

“প্রতিষ্ঠার ইতিহাসঃ-
প্রায়শত বছর পূর্বে হতে উপকূলীয় দৌলতখানের চরপাতা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার জন সাধারণের মধ্যে ইসলামী ও আধুনিক শিক্ষার সমস্বয়ে একটি যুগোপযোগী মাদ্রাসা গড়ার স্থায়ীয় উদ্যোগ প্রয়োজনীয় বিবিধ আনুকুল্য না পাওয়ায় একাধিবার ব্যবহৃত হয়। অর্ধশত বছরের জন মানুষের এ আকাঙ্ক্ষাকে উপজীব্য করে একদল স্থানীয় যুবক প্রত্যাশিত এ মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠায় আত্মনিয়োগ করেন।প্রতিষ্ঠিত হয় চরপাতা বায়তুল ফালাহ্ আলিম মাদ্রাসা। বর্তমান অধ্যক্ষ মাওলানা মোঃ সিরাজুল ইসলাম এটি প্রতিষ্ঠা ও সাফল্যের বিরামহীন সাধনায় দৃঢ়তার সাথে নেতৃত্ব দেন। এ সময় তাকে যে গুটি কয়েক সহচর নিবিড় সাহচর্য দেন তাদের মধ্যে মাওলানা মোঃ তৈয়বুর রহমান, হাফেজ মাওলানা কামরুল আহ্সান, মাওলানা মোঃ আশ্রাফ উদ্দিন , মাওলানা মোঃ মাকছুদুর রহমান, মোঃ মাইন উদ্দিন ও মোঃ ছালাউদ্দিন এর নাম উল্লেখযোগ্য।

“পাঠদান অনুমতি ও স্বীকৃতিঃ-
সূচনা পর্বে মাত্র ১ একক জমির উপরে স্থাপিত শন,খড়ি আর তাল পাতার ছাউনি ঘেড়া 120×15 ফুট দৈর্ঘ্য প্রস্থের কাঁচা গৃহে অতি কষ্টে চলতে থাকা ইবতেদায়ী ১ম শ্রেণি হতে দাখিল ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত বিরামহীন পাঠদান । নানা প্রতিকূলতার মাঝে মাদ্রাসাটি তার উন্নত পাঠদান পদ্ধতি এবং দিবারাত্রী বুনিয়াদী ইলম চর্চার কারণে এতদঞ্চলের সুধী অভিভাবক ও সচেতন বিদ্যানুরাগীদের দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম হয়। শুররু ৫ বছরের মধ্যেই এখানে বিভিন্ন অঞ্চল হতে এসে বিদ্যার্জনের ব্রত হয় শতশত ছেলে-মেয়ে।
মাদ্রাসাটির প্রত্যাশিত সাফল্য প্রাপ্তি শুরু হয় কেন্দ্রীয় দাখিল পরীক্ষায় ঈর্ষণীয় ফলাফল অর্জনের মধ্যে দিয়ে।১৯৯৬ ইং সনে দাখিল পরীক্ষায় প্রথম বারের মতো অংশগ্রহণকারী সবাই শতভাগ ভাল ফলাফল অর্জন, সংশ্লিষ্ট সকল শিক্ষকমন্ডলী ও শিক্ষার্থীদের আরো বেশী প্রত্যয়ী করে তোলে। বছরের পর বছর ধরে সমৃদ্ধ হতে থাকে মাদ্রাসাটির সাফল্যের ভান্ডার এবং এরই ধারাবাহিকতা এক পর্যায়ে ১৯৯৬ইং সনে অনুমতি ও পরবর্তী ১৯৯৭ ইং সনে একাডেমিক স্বীকৃতি অর্জনে সক্ষম হয়। ১৯৯৯ ইং সনের ১লা এপ্রিলে মাদ্রাসাটির এম.পি.ও প্রাপ্তির মধ্য দিয়ে এখানকার দাখিল পর্যায়ের আনুষ্ঠানিক ও একাডেমিক বিন্যাস প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেও শ্রেণি ভিত্তিক পাঠ দান প্রক্রিয়াকে আরো সম্প্রসারিত করার জন্য সংশ্লিষ্টদের মধ্য হতে স্বতঃস্ফূর্ত তাগিদ অনুভূত হতে থাকে। ক্রমেই দাখিল উত্তীর্ণ ছাত্র/ছাত্রী ও অভিভাবক মহল হতেে একে পর্যায়ে উন্নীত করতে জোড় দাবী উঠে। গভীর আত্মবিশ্বাসে বলীয়ান অধ্যক্ষ মাওলানা মোঃ সিরাজুল ইসলাম এবার মাদ্রাসাটিকে আলিম পর্যায়ে প্রতিষ্ঠার প্রতি মনোযোগী হন। দিবারাত্রী গলদঘর্ম পরিশ্রমের মাধ্যমে তিনি অল্পদিনের মধ্যেই আলিমের পাঠদান-অনুমতি ও স্বীকৃতি এনে চরপাতা বায়তুল ফালাহ্ আলিম মাদ্রাসার ইলমি আলোকে আরো প্রজ্বলিত করেন। বলা যায় চরপাতা বায়তুল ফালাহ্ আলিম মাদ্রাসাটি যেন এখন এ অঞ্চলের এক অনুর্বাণ আলোক বর্তিকা-“শিখা অনির্বাণ”।
২০০২ ইং সনে অনুমতি আর ২০০৬ ইং সনে স্বীকৃতি প্রাপ্তি এবং শতভাগ আইনগত শর্ত পূরণ থাকা সত্ত্বেও অব্যাহত গতিতে ২০১৯ ইং সনের মাঝা-মাঝি সময় পর্যন্ত দুঃখজনকভাবে বার বার এম.পি.ও বঞ্চিত হওয়ার যন্ত্রণা এখানকার সকল সম্ভাবনাকে ম্লান করে দিয়েছিল। এই অবস্থায় চরম আশাহত আলিম পর্যায়ের শিক্ষক কর্মচারীদের মধ্যে যখন নৈরাশার ঘোর কালো মেঘ বিরাজ করছিল ঠিক তখনই বিগত ২০১৯ ইং সনের ২৩ শে অক্টোবর তারিখে সরকার কর্তৃক জাতীয় পর্যায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নতুন এম.পি.ও ভূক্তির ঘোষণা শুকনো নদীতে স্রোতশীল জোয়ার সুআগমন ঘটে। বহুল প্রত্যাশিত এম.পি.ও প্রাপ্তির মাধ্যমে হয় আলিম পর্যায়ের সামগ্রিক একাডেমিক কার্যক্রম।
নানা স্বকীয়তায় বৈশিষ্ট মন্ডিত “চরপাতা বায়তুল ফালাহ্ আলিম মাদ্রাসা”
* ভোলা জেলার শ্রেষ্ঠ মাদ্রাসা-২০২৩ ইং
* মেধা ভিত্তিক বিভিন্ন গ্রুপে শিক্ষার্থীদের বিন্যাস।
* সকল বিষয়ে পাঠদানে সৃজনশীল পদ্ধতি অনুস্মরণ।
* বিষয় ভিত্তিক দক্ষতা বৃদ্ধির প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা, বিশেষ করে(আরবি, ইংরেজী এবং গনিত)
* সাধারণ জ্ঞান চর্চার নিয়মিত সাপ্তাহিক সাহিত্য সাংস্কৃত অনুষ্ঠান।
* সাপ্তাহিক / মাসিক/ ত্রৈমাসিক ও সেমিষ্টার পরীক্ষা পদ্ধতি মূল্যায়ণ।
* বুনিয়াদি ইলম চর্চাকে সর্বাধিক গুরুত্ব প্রদান।

“যাদের অবদান উল্লেখ যোগ্যঃ-
১৯৯৪ থেকে ২০২৩ ইং প্রায় ২ যুগ পূর্বে যাত্রা শুরু করে আজ চরপাতা বায়তুল ফালাহ্ আলিম মাদ্রাসা একটি পূর্ণতা প্রাপ্ত আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ইতিহাস ঐতিহ্যের নানান উপকরণে সমৃদ্ধ হয়ে এটি আজ উল্লেখ যোগ্য ঐশ্বর্য মন্ডিত এক গগন চুম্বি মহিরুহ, আমজনতার আশা জাগানিয়া এক স্বপ্নীল ঠিকানা, জ্ঞান-বিজ্ঞানের এক অনবদ্য বিশ্বকোষ। দিবা রাত এখানকার জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিচ্ছুরণে এখানের প্রকৃতি ও পরিবেশ যেন আজ এক জ্যোতির্ময় নতুন ভূবন।

যাদের ঐকান্তিক সহযোগিতার হাত এটিকে সাফল্যের শীর্ষ স্থানে পৌঁছে দেয় তাদের মধ্যে ভোলার কৃতী পুরুষ সাবেক সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী জনাব আলহাজ্ব তোফায়েল আহমেদ, সাবেক সংসদ সদস্য জনাব আলহাজ্ব হাফিজ ইব্রাহীম, দৌলতখান-বোরহানউদ্দিনের বর্তমান সংসদ সদস্য জনাব আলহাজ্ব আলী আজম মুকুল, সংরক্ষিত আসনের সাবেক এমপি জনাবা নারগিছ আরা হক, সাবেক খাদ‍্য সচিব ও বর্তমানে জাপানের নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জনাব শাহাবুদ্দীন আহমেদ খান, পুলিশের সাবেক ডিআইজি ও ডিএমপি কমিশনার জনাব ফররুখ আহমেদ খান, বিশিষ্ট ইসলামী স্কলারস ও আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব জনাব অধ্যক্ষ সাইয়্যেদ কামাল উদ্দিন জাফরী, চরপাতা বায়তুল ফালাহ্ আলিম মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সাবেক সভাপতি জনাব অধ্যক্ষ মহিউদ্দিন আহমেদ খান এবং বর্তমান গভর্নিং বডির সভাপতি জনাব এডভোকেট জুলফিকর আহমেদ খান, সাবেক চেয়ারম্যান জনাব মাওলানা আবদুর রহমান খান তালুকদার, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাদ্রাসা ও কারিগরী বিভাগের বর্তমান যুগ্মসচিব জনাব ড. আয়াতুল ইসলাম, মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের বর্তমান যুগ্মসচিব জনাব আবুল কালাম আজাদ এর নাম সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য।

চরপাতা বায়তুল ফালাহ্ আলিম মাদ্রাসা পরিবার ঐ সব ব্যক্তিবর্গের অসামান্য অবদানকে চিরকাল কৃতজ্ঞ চিত্তে স্মরণ করবে।

প্রকৃতপক্ষে উল্লিখিত ব্যক্তিবর্গের প্রত্যক্ষ সহযোগিতার ফলেই মাদ্রাসাটির দাখিল ও আলিমের অনুমতি স্বীকৃতি, পাঁকা ভবন নির্মাণ, স্থাপনা সম্প্রসারণ ও সংস্কারসহ নানাবিধ উন্নয়ন সর্বোপরি দাখিল পর্যায়ের এম.পি.ও (১৯৯৯ ইং)ও আলিম পর্যায়ের এম.পি.ও (২০১৯ ইং) প্রাপ্তি নিশ্চিত হয়।

এ ছাড়াও স্থানীয় দেশ প্রবাসী বহু সংখ্যক গুণীজন এর প্রতিষ্ঠা ও উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন। এদের মধ্যে সাবেক শিল্পমন্ত্রীর পিএস জনাব জহিরুল হক, দৌলতখানের সাবেক নির্বাহী অফিসারবৃন্দ, যথাক্রমে বাবু জে এন বিশ্বাস, জনাব তৌহিদুর রহমান, জনাব আবুল কালাম আজাদ, জনাব মাহাতাব উদ্দিন জমাদ্দার, জনাব সৈয়দ মেহেদী হাসান, জনাব ফয়েজ আহম্মেদ, জনাব সাইফুল ইসলাম, জনাব শেথ মুর্শিদুল ইসলাম, জনাব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, জনাব মোঃ কামাল উদ্দিন, বাবু জিতেন্দ্র কুমার নাথ, জনাব তারেক হাওলাদার ও বর্তমান নির্বাহী অফিসার জনাব পাঠান মোঃ সাইদুজ্জামান। দৌলতখানের বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব জনাব নাছির আহম্মেদ খান, সাবেক পৌর মেয়র মরহুম মাকসুদুর রহমান সিকদার, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মরহুম নুরুউদ্দিন আহম্মেদ খান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জনাব মামুন অর রশিদ বাবুল চৌধুরী, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান জনাব আলহাজ্ব মনজুর আলম খান, মরহুম গোলাম কিবরিয়া বাদল।

প্রখ্যাত আলেম কলাকোপা আলিম মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ মরহুম মোখলেছুর রহমান, ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ধনিয়া আলিম মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা একেএম বশিরউল্যাহ, চরপাতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মরহুম একেএম ফজলুল হক খান ও মরহুম আবদুল মান্নান মাষ্টার। সমাজ সেবক মরহুম ফজলুল হক মিয়া, সাবেক কাস্টম কর্মকর্তা জনাব শাহাজান খান, চরপাতার সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম হারেচ মোল্লা, জনাব নাজিম উদ্দিন হাওলাদার, মরহুম কাজল ইসলাম তালুকদার, মরহুম আবদুল খালেক মেম্বার, মরহুম আবদুল খালেক মাষ্টার, মরহুম মাওলানা মোঃ মহিবুল্লাহ, মরহুম কাজী আবুল কালাম আজাদ, মরহুম মোঃ সিরাজুল ইসলাম মিয়াজী, আবদুল কুদ্দুস মিয়াজি, চরপাতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক জনাব মোঃ কামাল উদ্দিন সহ স্থানীয় ও বহু সংখ্যক ব্যক্তিবর্গ।

বিভিন্ন সময়ে আগত সম্মানিত অতিথি বৃন্দঃ
সময়ের দাবী আর প্রতিশ্রুত প্রত্যাশা পূরণে প্রত্যয় দীপ্ত চরপাতা বায়তুল ফালাহ্ আলিম মাদ্রাসার মুখরিত আঙ্গিনাকে ঐশ্বর্য মন্ডিত করেছেন যুগে যুগে বহু সংখ্যক মহান ব্যক্তিবর্গ। এখানে আগত অসংখ্য ঋষী মণীষীদের পদধূলী বার-বার একে করেছে মহিমান্বিত। যাদের মধ্যে সাবেক সাংসদ ও শিল্প-বাণিজ্য মন্ত্রী জনাব আলহাজ্ব তোফায়েল আহমেদ, সাবেক সাংসদ ও সাবেক ধর্ম প্রতি মন্ত্রী মরহুম মোশারেফ হোসেন শাজাহান, সাবেক খাদ্য সচিব ও বর্তমান জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জনাব শাহাবুদ্দীন আহমেদ খান, যুগশ্রেষ্ঠ আলেম আওলাদে রসূল আল্লামা আনোয়ার হোসেন তাহের আল জাবেরী, আল্লামা হাসনাঈন আহম্মেদ সিদ্দিকী জৈনপুরী, আল্লামা সাইয়্যেদ কামাল উদ্দিন জাফরী, আল্লামা রইস উদ্দিন আনোয়ারী, মাওলানা মাহবুবুর রহমান সাইফি, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের সাবেক পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মতিউর রহমান, বরিশাল আঞ্চলিক শিক্ষা পরিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোক্তার হোসেন, ভোলা জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোকাম্মেল হক ও বিভিন্ন সময় আগত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অডিট টিমের সম্মানিত সদস্য বৃন্দ সহ প্রমুখের নাম উল্লেখযোগ্য।

উপসংহারঃ
স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে ইতোমধ্যে চরপাতা বায়তুল ফালাহ্ আলিম মাদ্রাসার ইলমি আলোয় উজ্জীবিত বহু সংখ্যক নতুন প্রজন্ম গৌরবময় ভূমিকা রাখতে শুরু করেছে। নিতান্তই সামর্থগত সীমাবদ্ধতা আর প্রত্যন্ত অঞ্চলের অনিবার্য বাস্তবতা মাদ্রাসাটির সম্মুখে চলার পথকে বার-বার রুদ্ধ করে দিতে চায়। এতদসত্বেও গভীর আত্মবিশ্বাসে বলীয়ান চরপাতা বায়তুল ফালাহ্ আলিম মাদ্রাসার এগিয়ে চলা অব্যাহত থাকবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

অধ্যক্ষের বাণী

image-not-found

প্রতিনিয়ত পৃথিবী পৃষ্ঠে কত ফুল ফোটে আর ঝরে, সে খবর হয়তো কেউ রাখেনা। কিন্তু যে ফুল যুগ-যুগান্তরে খুশবু ছড়িয়ে সবাইকে বিমোহিত করে। সুবাসিত ও সুষমা মন্ডিত করে সমাজ সভ্যতার প্রতিটি শাখা প্রশাখা ও পত্র-পল্লব- তা হলো সত্যিকার অর্থে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বলা বাহুল্য, মানব সভ্যতার বিকাশ ও সংরক্ষণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা-ই সর্বাগ্রে এবং কালজয়ী।

এই বিশ্বাসকে অবলম্বন করেই ১৯৯৪ ইং সনে প্রতিষ্ঠিত হয় “চরপাতা বায়তুল ফালাহ্ আলিম মাদ্রাসা”।এরই মধ্যে তথ্য প্রযুক্তির বৈপ্লবিক প্রবাহে একিভূত হতে পেরে নিজেকে গৌরবাহ্নিত বোধ করছে প্রত্যন্ত মেঘনা উপকূলীয় জনপদে গড়ে উঠা এই ইসলামী বিদ্যায়নটি।

প্রত্যাশিত ডিজিটাল বাংলাদেশের গন্ডি পেরিয়ে আগামীতে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার সে লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করে বর্তমান সরকার দৃঢ় পদক্ষেপে সমানে অগ্রসর হচ্ছে, “চরপাতা বায়তুল ফালাহ্ আলিম মাদ্রাসা” সেই ধারায় পিছিয়ে থাকতে পারে না। এই চেতনা ধারণ করেই আমাদের আপন ঠিকানা অত্র মাদ্রাসাটিকে একটি আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সফল সূচকে উন্নিত করে কাঙ্ক্ষিত মান অর্জনের লক্ষ্যে আমরা বরাবর-ই সক্রীয় ছিলাম। এই গতীশীলতার প্রাপ্তি হিসেবেই আল্লাহর মেহেরবাণীতে আমরা চলতি ২০২৩ ইং সনে ভোলা জেলার “শ্রেষ্ঠ মাদ্রাসা” স্বীকৃতি লাভে সক্ষম হয়েছি।

সাম্প্রতিক কালে সরকার প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ওয়েব সাইট খুলে স্ব-স্ব বিস্তারিত তথ্য কর্তৃপক্ষের জ্ঞাতার্থে উপস্থাপন করার সবর্ণ সুযোগ প্রদান এবং স্বচ্ছ সহজ ও সাবলীল পথ চলতে প্রযুক্তিগত সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ায় আমি বর্তমান সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ।

মোঃ সিরাজুল ইসলাম
অধ্যক্ষ

সভাপতির বাণী

image-not-found

ধর্ম, শিক্ষা, সংস্কৃতি, রাজনীতি ও অর্থনৈতিক বিবেচনায় বাংলাদেশের মানচিত্রে সর্ববৃহৎ দ্বীপ জেলা ভোলার বর্তমান অবস্থান অগ্রাধিকার বিবেচনার পিছনে নিঃসন্দেহে এখানকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহের ভূমিকা সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। এ ক্ষেত্রে বলতে দ্বিধা নেই যে, প্রচলিত সাধারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহের পাশাপাশি জেলার মাদ্রাসা সমূহের অবস্থান ও একই সমান্তরালে প্রবাহিত। বিশেষ করে দৌলতখান উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ জনপদ ০৩ নং চরপাতা ইউনিয়নের প্রাণ কেন্দ্রে অবস্থিত “চরপাতা বায়তুল ফালাহ্ আলিম মাদ্রাসাটি” এ ক্ষেত্রে একটি অনুকরণীয় আদর্শ ইসলামী বিদ্যানিকেতন। সময়ের প্রয়োজনে স্থানীয় অভিভাবক, শিক্ষক ও অন্যান্য সংশ্লিষ্টদের একান্ত অনুরোধে ভোলা জেলার শ্রেষ্ঠ মাদ্রাসা সম্মানে ভূষিত প্রতিষ্ঠানটির গভর্নিং বডির সভাপতি হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হওয়ায় আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি। দিন বদলের শ্লোগান ধরে আজ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে গন জাগরণের প্রবাহ আজ গোটা বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম হয়েছে। সেই ধারায় অত্র মাদ্রাসাটির অধ্যক্ষ, শিক্ষক, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীসহ সবাই স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্বতঃস্ফূর্ত ভূমিকা পালন ও যুগের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় একদল সুযোগ্য নাগরিক উপহার দিয়ে মাদ্রাসাটি আজীবন তার শ্রেষ্ঠত্বের ধারা অক্ষুন্ন রাখবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

বর্তমান সরকার দেশের আর্থ সামজিক ও অবকাঠামোগত অগ্রগতির সাথে সাথে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার যে, উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, তার-ই এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হলো দেশের প্রত্যেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে পৃথক পৃথক ওয়েব সাইট খুলে প্রতিষ্ঠান সমূহের আপন স্বকীয়তাকে তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির চলমান ধারায় আরো একিভূত ও গতিশীল করা। এ ক্ষেত্রে চরপাতা বায়তুল ফালাহ্ আলিম মাদ্রাসার নিজস্ব ওয়েব সাইটটি একটি মডেল হবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। প্রতিষ্ঠানটি স্বীয় ঐতিহ্য ও স্বকীয়তায় চিরজীবী হোক।

এডভোকেট জুলফিকর আহমেদ খান
সভাপতি গভর্নিং বডি
চরপাতা বায়তুল ফালাহ্ আলিম মাদ্রাসা।
দৌলতখান, ভোলা।